গাজওয়াতুল হিন্দ। Gajwaltul Hind

Muhammad Jamal Uddin
0




গাজওয়াতুল হিন্দ ও মুসলমানদের জানার বিষয়। 

পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় যে  ধর্মযুদ্ধ হবে সেটাই হল “গাজওয়াতুল হিন্দ” তথা হিন্দুস্থানের যুদ্ধ। 

যা ভারতবর্ষে হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের ধর্ম যুদ্ধ সংগঠিত হবে। এই যুদ্ধে নিশ্চিতভাবে মুসলমানদের বিজয় হবে। আর এই ভবিষৎ বাণী করেছিলেন হযরত রাসুলে পাক (সা.)।

কিন্তু কবে আসবে এই গাজওয়াতুল হিন্দ? আর ঈমানদার মুসিলমদের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ এই গাজওয়াতুল হিন্দ তা বলাবাহুল্য রাখেনা। গাজওয়া শব্দের অর্থ হলো অভিযান আর হিন্দ হলো স্থানের নাম। ১৪’শ বছর আগে বর্তমান ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রিলঙ্কা, অফগানিস্থান, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানকে বলা হতো হিন্দ অর্থাৎ ভারতীয় উপমহাদেশকে বলা হতো হিন্দ বা হিন্দুস্থান।

পবিত্র হাদিস শরীফে গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটা হবে কাফের বা মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের পৃথিবীর ভিতর বৃহত্তর জিহাদ বা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে হিন্দুস্থানের মোট মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশই শহীদ হবে, আরেক অংশ পালিয়ে যাবে আর শেষ অংশ জিহাদ চালিয়ে যাবে এবং চুড়ান্ত বিজয় লাভ করবে।

মুসলমানদের নিশ্চিত জয় হবে কিন্তু এটা এতোটাই ভয়াবহ হবে যে হয় তো অল্প কিছু সংখ্যক মুসলিমই বেঁচে থাকবেন বিজয়ের খোশ আমদেদ করার জন্য।

অন্য বর্ণনায় আছে, গাজওয়াতুল হিন্দ হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধ। রাসুল (সা) একদিন পুর্ব দিকে তাকিয়ে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছিলেন, এমন সময় এক সাহাবি রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনি এমন করছেন কেন!

রাসুল (সা.) বললেন, আমি পুর্ব দিকে বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছি। সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুম উনারা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনি কিসের বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছেন? রাসুল (সা.) বললেন, পুর্ব দিকে মুসলিম ও মুশরিকদের (যারা মুর্তিপুজা করেন) সাথে যুদ্ধ শুরু হবে। যুদ্ধটা হবে অসম। মুসলিম সেনাবাহিনী থাকবে সংখ্যায় সীমিত, কিন্তু মুশরিক সেনাবিহিনী থাকবে সংখ্যায় অধিক।

ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা এত বেশি মারা যাবে যে রক্তে মুসলিমদের পায়ের টাকনু পর্যন্ত ডুবে যাবে এবং যুদ্ধে মুসলিমরা তিন ভাগে বিভক্ত থাকবে। এক ভাগ বিশাল মুশরিক বাহিনী দেখে ভয়ে পালিয়ে যাবে, তারাই হলো জাহান্নামী! আর এক ভাগ সবাই যুদ্ধে শহীদ হবেন। শেষ ভাগ আল্লাহর উপর ভরসা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করবেন।

নবী রাসুলে পাক (সা.) বলেন, এই যুদ্ধ বদর যুদ্ধের সমতুল্য (সুবহানাল্লাহ)।

তিনি আরো বলেছেন, ঐ সময় মুসলিমরা যে যেখানেই থাকুক না কেন তারা যেন সেই যুদ্ধে শরিক হন।


হে আল্লাহ তুমি আমাকে এই যুদ্ধে  শামিল থাকার তৌফিক দিও এবং শহীদ হিসেবে কবুল করিও


Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!